ডিএনএ( DNA ) টেস্ট কিভাবে করা হয়

0

 

ডিএনএ টেস্ট


 বর্তমান শতাব্দীতে ডিএনএ প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং এর ব্যবহার চিকিৎসাবিজ্ঞান , কৃষি , মৎস্য , প্রাণিসম্পদ এবং ঔষধশিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে । প্রচলিত সাক্ষ্য - প্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীনির্ভর বিচারব্যবস্থার পাশাপাশি আজ বাংলাদেশেও সুবিচার পাওয়ার এক নতুন উপায় হচ্ছে এই ডিএনএ টেস্ট ।


 ডিএনএ টেস্টের বিজ্ঞানভিত্তিক এক ব্যবহারিক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং । এ ধরনের প্রক্রিয়াগুলোর ডিএনএ টাইপিং , ডিএনএ টেস্টিং ইত্যাদি নামও প্রচলিত আছে । ডিএনএ টেস্ট সুসম্পন্ন করার জন্য প্রথম প্রয়োজন জৈবিক নমুনা । ব্যক্তির হাড় , দাঁত , চুল , রক্ত , লালা , বীর্য বা টিস্যু ইত্যাদি মূল্যবান জৈবিক নমুনা হতে পারে । অপরাধস্থল কিংবা অপরাধের শিকার এমন ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করা জৈবিক নমুনার ডিএনএ নকশাকে ( DNA profile ) সন্দেহভাজনের কাছ থেকে নেওয়া রক্ত বা জৈবিক নমুনার ডিএনএ নকশার সাথে তুলনা করা হয় । এই পদ্ধতিতে প্রথমে নমুনা থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ডিএনএ আলাদা করে নিতে হয় এবং একাধিক সীমাবদ্ধ এনজাইম ( restriction enzyme ) দিয়ে ডিএনএগুলো কেটে ছোট ছোট টুকরা করা হয় । তারপর এক বিশেষ পদ্ধতিতে ( ইলেকট্রোফোরেসিস্


( electrophoresis ) দ্বারা এগারোজ বা পলিএব্রিলামাইড জেল ) ডিএনএ টুকরোগুলো তাদের দৈর্ঘ্য অনুসারে বিভিন্ন ব্যান্ড আকারে আলাদা করা হয় । এরপর এক ধরনের বিশেষ নাইট্রোসেলুলোজ কাগজে রেডিও অ্যাকটিভ আইসোেটাপ ডিএনএ প্রোবের সাথে হাইব্রিডাইজ করে এক্স - রে ফিল্মের উপর রেখে অটোৱেডিওগ্রাফ পদ্ধতিতে দৃশ্যমান ব্যান্ডের সারিগুলো নির্ণয় করা হয় এবং অপরাধস্থল থেকে প্রাপ্ত নমুনার সাথে সন্দেহভাজন নমুনার মিল ও অমিল চিহ্নিত করে তুলনা করা হয় । এই পদ্ধতিটিকে ডিএনএ ফিঙ্গার প্রিন্টিং বলা হয় । বর্তমানে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া ( Polymerase chain reaction ) বা পিসিআর ( PCR ) পদ্ধতিতে আরও নিপুণভাবে অল্প নমুনা ব্যবহার করে নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হচ্ছে ।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)