মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ১০০% সঠিক ৫টি উপায়? যে উপায়ে সারা জীবন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন

0

 
100% correct 5 ways to earn money with mobile?


অনলাইন ইনকাম কারও অজানা নয় ।তবে কয়জন সফল ভাবে পেরেছে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। দেখা যায় শতকরা ৯০% লোকি অনলাইন ইনকাম করতে ব্যার্থ হয়।এর পিছনেও বড় একটা কারন রয়েছে।আপনি যেটা পারেন না সেটা করতে গেলে তো ব্যার্থ হওয়া টাই সাভাবিক।তাই আপনি যেটা পারেন না আগে সেটা শিখতে হবে।তারপর না কাজে নামবেন।এই ভুলটাই যারা করেছে তারাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে ব্যার্থ হয়েছে। "যেখানে ডেস্কটপ দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে যেয়ে অনেকেই ব্যার্থ হচ্ছে সেখানে মোবাইল দিয়ে কিবা করা যাবে" এমনটা মনে হতে পারে তাই না । তবে সুনে নিন মোবাইল দিয়ে ১০০% ইনকাম করতে পারবেন।এমনকি মোবাইল দিয়ে এক বা দুই নয় বরং একাদিক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।এবং প্রফেশনাল ভাবে সারা জীবন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানের মোবাইল ডিভাইস গুলো অনেক শক্তিশালি করে তৈরি করা হয়।এবং বর্তমানে প্রায় সকল প্ল্যাটফর্ম মোবাইল সাপোর্টেড করে তৈরি করে থাকে।তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে, এখনকার প্রায় সকল সফ্টওয়ার গুলো উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি, যার ফলে খুব সহজেই যে কোন ডিভাইস পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।বর্তমানে আপনি চাইলেই যে কোন শক্তিশালি ডিভাইস দিয়েই  অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি চান মোবাইল দিয়ে ইনকাম করবো, তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে তাহলো:


আরও পরুন



১। সবার প্রথমে আপনাকে ধর্যশীল হতে হবে ।আপনি হয়তো সুনে থাকবেন অনলাইন ইনকাম মানেই ধর্যের পরিক্ষা।এবার আসুন বাস্তব জীবনে, সাধারনত আমরা ছোট থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপরা করি ।এবং ২০ - 25 বছর লেখা পরা করার পর যদি একটা চাকরি হয়ও তবে বেতন হবে সর্বোচ্চ ১০০,০০০ টাকা । কিন্তু আপনি যদি মাত্র ৫-১০ বছর অনলাইন থেকে ইনকামের পিছনে সময় দেন তাহলে আপনার মাসিক বেতন লক্ষ+ টাকা হয়ে যাবে।তবে আমি কিন্তু লেখাপরা করতে না করছি না।কেননা আপনি মুর্খ থাকলে অনলাইনে কাজ করতে পারবেন না।আপনার শিক্ষা যত বেশি হবে অনলাইন থেকে তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনাকে খুব বেশি দিন ধর্য ধরে কাজ করতে হবেনা। অনলাইনে ইনকাম সুরু হতে সাধারনত তিন চার মাস সময় লাগে মাত্র ।আর সর্বোচ্চ ১২ মাস সময় লাগে।আপনি যদি মাত্র তিন চার মাস ধর্য ধরে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলেই সফল হতে পারবেন।


২। অনলাইন থেকে আয় করার ইচ্চা বা আগ্রহ থাকতে হবে।কথায় আছে ইচ্ছায় সর্গ ইচ্ছায় নরগ।তো আপনার যদি কাজের প্রতি ইচ্ছা না থাকে সুধু টাকার লোভে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনি কখনোই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।তাই প্রচুর পরিমান ইচ্ছা বা সখ থাকলে ই আগাতে পারেন।


৩। মোবাইল ডিভাইস ও অনলাইন সম্পর্কে মুটামুটি ভালো ধারনা থাকতে হবে।এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ধরনা না থাকলে আগে অর্জন করুন।


৪। যে কোন কাজের দক্ষতা। মানে কেউ একটা কাজ করছে সেটা দু-এক বার দেখে দেখে করতে পারার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কেননা না আপনি যদি প্রথম বারের মতো অনলাইনে ইনকাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনা অনেক কিছু অনলাইন থেকে দেখে দেখে শিখতে হবে।

আপাদত এবিষয় গুলোর দিকে নজর রাখলেই চলবে।তবে একটা কথা বলে দেই টাকার লোভে উলটা পাল্টা দৌর পারবেন না।ইউটিউব বা অন্যান্য সাইটে আপনি দেখবেন অনেকেই লোভনীয় অফার দিবে বলবে ২০০% গ্যারান্টি প্রতিদিন ১০০০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট ইত্যাদি।এইসব নিউস থেকে দূরে থাকবেন।এই নিউস গুলা সব ভুয়া।সুধু মনে রাখবেন কেউ আপনাকে সুধু টাকা দিবে না।তার জন্য পর্যাপ্ত পরিশ্রম করতে হবে তবেই আপনার পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পাবেন মাত্র। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায় গুলো কি কি 


১। ব্লগে লেখালেখি করে টাকা আয় 


মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সবচেয়ে সেরা উপায় হলো ব্লগিং করা।অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকামের জন্য ব্লগিং এ সুবিধা ও ইনকাও বেশি । কেননা আপনি যদি প্রতি সপ্তাহেও একটি করে পোষ্ট করতে পারেন তাহলেও মুটামুটি ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।যদিও মোবাইল দিয়ে লেখা লেখি করাটা একটু সময় সাপেক্ষ বেপার।তবে আপনি ২ ঘন্টা সময়েই একটি পোষ্ট কমপ্লেট করে ফেলতে পারবেন।আমার মনে হয় এর চেয়ে সহজে অনলাইন থেকে ভাল মানের টাকা ইনকাম করা সম্ভব না।আপনি লেখা পড়ার পাশাপাশি ব্লগিং করে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।

তবে ব্লগিং করার জন্য আপনাকে লেখালেখিতে পর্যাপ্ত পরিমান আগ্রহ ও দক্ষতা লাগবে।এবং অনেক বেশি ধর্যের প্রয়োজন হবে।কেননা যদিও ব্লগিংয়ে আপনাকে খুব বেশি শ্রম দিতে হবে না । তবে সাধারনত ব্লগে লেখালেখি করা সুরু থেকে অন্তত পক্ষে তিন বা চার মাস সময় লাগে ইনকাম সুরু হতে।এই তিন চার মাস আপনাকে ধর্য ধরে লেখালেখি করতে হবে।এবং এই তিন চার মাস আপনাকে একটু বেশিই কষ্ট করতে হবে।কেননা আপনি  এই প্রথম বাড়ের মতো ব্লগিংয়ে করতে চলেছেন।এর বিষয়ে হয়তো আপনি কিছুই জানেন না।তাই প্রথম তিন চার মাস আপনাকে সব কিছু শিখার পাশা পাশি নিয়মিত পোষ্ট লিখে যেতে হবে।তারপর আর কোনো কষ্ট করতে হবে না । সুধু নিয়মিত পোষ্ট করে গেলেই চলবে।এবং তখন আপনার যে কোন বিষয়ে লিখতেও অনেক সহজ মনে হবে।আর যতই দিন যাবে ততই আপনার ইনকাম বাড়বে।এমনি আপনি সারা জীবন ব্লগিং করেও লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে আয় করতে কি কি প্রয়োজন হবে?

ব্লগিং করে ইনকাম করতে আপনার বেশি কিছুর  প্রয়োজন হবে না।মাত্র কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হবে।

১। লেখা লেখিতে পর্যাপ্ত জ্ঞ্যান।এবং লেখা লেখি করার সখ।

২। ধর্য ।

৩। একটি মোবাইল ডিভাইস।

৪। ইনটারনেট সংযোগ ।

৫। প্রথম অবস্থায় পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

৬। একটু পরিশ্রমি হতে হবে।

আপাদত এগুলো হলেই আপনি ব্লগিংয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগিং সুরু করবো?


ব্লগিং সুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েব সাইট খুলতে হবে।এবং ওয়েবসাইট টিকে পুরোপুরি সাজাতে হবে।তারপর নিয়মিত ভাবে লেখালেখি করতে হবে।এবং আপনার ওয়েবসাইটটি যখন এডসেন্স আবেদন করার জন্য প্রস্তুত হবে তখন আবেদন করতে হবে।আর আপনার এডসেন্স এপ্রোভ হলে আপনার ইনকাম সুরু হয়ে যাবে।


ব্লগিং করে টাকা আয় করার উপায়?


ব্লগ খুবই জনপ্রিয় একটি ইনকাম প্লেটফর্ম।ব্লগ  থেকে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।বাংলাদেশের এমনও ব্লগার রয়েছেন যারা প্রতি মাসে প্রায় ৩০,০০,০০০+ টাকা ইনকাম করছে।

 ব্লগ কি?


সহজ ভাষায় বললে ব্লগ হলো একটি ডাইরির মত।যেটাতে মনমত সব কিছু লিখে রাখা যায়।এমন কি আপনার মনের ইচ্ছা মত লিখে সেটা সকলের কাছে পৌছানোও সম্ভব।একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটাতে এড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

এরজন্য প্রথমে একটা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।একটি ওয়েবসাইট অনেকভাবে তৈরি করা যায়।এর মধ্যে জনপ্রিয় দুইটির কথা বলবো। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক

1. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)


ওয়ার্ডপ্রেস হলো বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা ওয়েবসাইট।এখান থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করেন।এখানে প্রফেসনাল যে কোন  ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।তবে হোস্টিং ও ডোমেইন আলাদা ভাবে ক্রয় করতে হবে।

2. ব্লগার (blogger)


ব্লগার হলো গুগলের নিজস্ব ওয়েবসাইট।যেখানে ফ্রি হোস্টিং সেবা দেওয়া হয়।এবং অনেক সুবিদাও রয়েছে।নতুনদের জন্য পার্ফেক্ট হলো ব্লগার।তবে ব্লগারে ওয়ার্ডপ্রেস এরমত বেশি ফিচার নেই।

ওয়ার্ডপ্রেস না ব্লগার কোনটা ভালো


এই দুইটা ওয়েবসাইটের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস ভালো।কারন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট প্রফেসনাল ভাবে তৈরি করা যায়।

আবার ব্লগারে সবকিছু অনেক সহজ ভাবে থাকায় যে কেউ একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে।আমার সাজেস্ট থাকবো নতুন অবস্থায় ব্লগারে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করাই ভালো।এবং অবস্যই একটি মাস্টার ডোমেইন কিনে নিবেন।এতে আপনার সাইট তারা তারি রাঙ্ক করবে। এবং সহজে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ হয়ে যাবে।আর পরবর্তীতে ওয়ার্ডপ্রেসে আপনার ওয়েবসাইট ট্রান্সফার করে নিবেন।ব্লগারে একটি ফ্রি ওয়েবসাই কিভাবে তৈরি করতে হয় তার A-Z সবকিছু একটি ভিডিওতে পেয়ে যাবেন।ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ব্লগ থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবো?


 এটা নির্ভর করে আপনার ব্লগে কতটি এড ক্লিক পরেছে তার উপর।তবুও আমি একটু ধারনা দিয়ে দেই।মিডিয়াম একজন ব্লগার মাসে ২০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে । এবং বড় ব্লগার রা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে।



২। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়


ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার সবচেয় বড়  প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব।ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় এটা কারো অজানা না। এখান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইনকাম করছে।এমনকি ইউটিউব কে কেউ কেউ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।তারা সারা জীবন ধরে ইনকাম করে যাচ্ছে।
কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।তারপর চ্যানেলটির সব কাজ এসিও ফ্রেন্ডলি ভাবে সম্পূর্ন করতে হবে।এবং ভিডিও আপলোড করতে হবে।তারপর ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম বা মনিটাইজেশন করতে হবে।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে কিছু সর্তপূরন হতে হবে।


ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর আরেক নাম হলো মনিটাইজেশন।ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে  এডসেন্স নিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।এবং এর পাশাপাশি আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে যে সুবিধা গুলো পাবেন তা হলো: ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফিস, সুপার চ্যাট, চ্যানেল মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম ইত্যাদি।আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারবেন।


ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ মাসে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে।এবং আপনার আপলোডকৃত ভিডিওতে কমপক্ষে সর্বমোট ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম থাকতে হবে।এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোনো প্রকার কপিরাইট স্ট্রাইক থাকলে হবে না। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চালনা করা হয়, তাহলে খুব সহজেই মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন।


৩। ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়


বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। শুধু তাই না! এর বাইরে ফেসবুকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অনেকেই কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে।ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা রা তাদের ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য অনেক লোক নিয়োগ দিয়েছে।এমনকি বর্তমানে ইউটিউবের মতো এড দেখিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক।অথবা বিভিন্ন মার্কেটিং ও ব্যাবসাও করা যায় ফেসবুকে।

এছাড়াও ফেসবুক পেইজে ভিডিও  আপলোড করে ইউটিউবের মতো করে টাকা আয় করা যায়। বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় ৩২টি দেশের মানুষ ফেসবুকের এই সুবিধা পাচ্ছে।
‘অ্যাড ব্রেকস’ নামে ফেসবুকের নতুন সুবিধার তালিকায়  বাংলাদেশও রয়েছে। তাই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারবেন আপনিও।


অ্যাড ব্রেকস কী?


আমার মনে হয় এবিষয়ে প্রায় সবাই জানেন।তবুও বলে দেই  "অ্যাড ব্রেকস" এর অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতি। আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন।তাহলে অবস্যই দেখতে পান ভিডিও প্লে করলে ৫-১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন চলে আসে।এই বিজ্ঞাপন কেই অ্যাড ব্রেকস বলা হয়।ফেসবুকে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ কারিকে  বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ৫৫ ভাগ দেওয়া হয়।


ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে হবে।তারপর সেখানে নিয়মিত ইউনিক এবং নিজের ভিডিও আপলোড করতে হবে।এবং আপনার প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে তিন মিনিটের হতে হবে।এবং ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচটাইম এবং গড়ে প্রতিটি ভিডিও ১ মিনিট করে ভিউ ও ১০ হাজারের  বেশি ফলোয়ার হতে হবে। এই সব সর্ত পুরনের জন্য দুই মাস সময় পাবেন। তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিও গুলো মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।এবং মনিটাইজ হয়ে গেলে এড দেখানোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।


ফেসবুক পেজ থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবো? 


এটা নির্ভর করে আপনার পেজে কতটি এড ক্লিক পরেছে তার উপর।তবুও আমি একটু ধারনা দিয়ে দেই।আপনার পেইজে যদি মিডিয়াম এড ক্লিক পরে তবে আপনি মাসে ৮,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন


৪। ফটো বিক্রি করে টাকা আয় 


আপনার যদি ফটোগ্রাফি করার শখ থাকে তাহলে আজকেই সুরু করে দেন ছবি তোলা।বর্তমানে অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলোতে আপনার তুলা ছবি বিক্রি করতে পারবেন।হয়তো ভাবছেন আজকেই সুরু করবো,কিন্তু DSLR Camera তো নেই।নো প্রবলেম আজকাল হাজার হাজার লোক মোবাইল দিয়ে ফটো গ্রাফি করে।বর্তমানে মোবাইলে ভালমানের ক্যামরা দিয়ে থাকে যেটা দিয়ে অনায়াসে ফটো গ্রাফি করতে পারবেন।আমি বলি মোবাইল দিয়ে সুরু করেন তারপর সফল ভাবে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারলে Dslr camera কিনে নিতে পারবেন।
যে সাইট গুলোতে ছবি বিক্রি করতে পারবেন তার মধ্যে শীর্স ১০টি স্টক যথাক্রমে:


Shutarstock

Adobe stock
istock
Art storefronts
SmugMug
Alamy
Stockxpert
photoShelter 
Zenfolio
red bubble
23RF   


এজন্য প্রথমে আপনাকে ভিবিন্ন স্টকে একাউন্ট করতে হবে।তারপর ভাল কোয়ালিটির ছবি তুলে আপলোড করতে হবে।ছবি আপলোড করার পর তারা ছবিটি যাচাই বাছাই করে যদি মনে করে আপনার ছবিটি কোয়ালিটি ফুল তাহলে তারা এপ্রুভ করবে।তারপর আপনার ছবিটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত হবে।এবং ছবিটি বিক্রি হলে তার কিছু অংশ আপনাকে দিবে আর বাকি টুকু তারা নিয়ে নিবে।এভাবে কয়েকটি ওয়েবসাইটে একাউন্ট করে ছবি বিক্রি করতে পরবেন।

ছবি বিক্রি করে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবো?


এর উত্তরে বলবো সেটা আপনার ও আপনার ছবির উপরে নির্ভরশীল ।তবুও একটা ধারনা দিয়ে দেই।যদি মিডিয়াম ছবি বিক্রি করতে পারেন তাহলে মাসে ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আবার যদি অনেক বেশি ছবি বিক্রি করতে পারেন তাহলে ৫০,০০০ থেকে ৫০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

৫। বিভিন্ন অ্যাপে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়


কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে।এখানে কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা কপি করা ভিডিও নিয়ে থাকে।আবার কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা কপি ভিডিও নেয় না।তবে এগুলো থেকে টাকা ইনকাম  করাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পরে।এবং টাকার পরিমানটাও অনেক কম দিয়ে থাকে।তবে আপনি যদি পপোলার হতে পারেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করার জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপ হলো:


১। Tiktok (টিকটক)


বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হলো টিকটক।হয় তো বুজতেই পারছেন কি করতে হবে।হ্যা ঠিকই ধরেছেন, এখানে আপনাকে টিকটক ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপনি যদি টিকটক ভিডিও তৈরি করতে পারেন।তাহলে এই অ্যাপটিতে সেগুলো আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি  "টিকটক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় সম্পূর্ন"  জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।তাহলে আমি এবিষয়ে একটি পোষ্ট করবো।


২। Likee (লাইকি)


এখানেও আপনি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


৩। Snack video (স্নেক ভিডিও)


Snack video থেকেও আপনি ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছারাও অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে।যেগুলো থেকেও ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)