গেম খেলে টাকা আয় (গেম খেলে টাকা আয় করার ১০০% সঠিক উপায়ে সারা জীবন ইনকাম করুন)

0

 

গেম খেলে টাকা আয় করার উপায়

সূচিপত্র

   ১। সূচনা

  ২। গেম খেলে টাকা আয় করতে কি কি প্রয়োজন হবে?

 ৩। কোন কোন উপায়ে গেম খেলে টাকা আয় করা যায়?

৪। ইউটিউবে গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়

৫। ইউটিউব গেমিং চ্যানেল থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

৬। গেমিং সম্পর্কিত ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় 

৭। Twitch এ গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়

৮। ফেসবুক পেজে গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়

৯। 
 টুর্নামেন্ট গেম খেলে টাকা আয়

 ১০। সামান্য কিছু উপদেশ


সূচনা

আমরা অনেকেই সুনেছি গেম খেলে টাকা আয় করা যায়।হ্যা কথাটা ঠিক কিন্তু সুধু গেম খেললেন আর হাতে টাকা চলে আসলো এই কথাটা ঠিক নয়।যদিও কিছু কিছু অ্যাপে বলা হয় যে গেমখেলুন আর এড দেখে টাকা আয় করুন।অথবা অনলাইনে বাজি করে গেম খেলুন আর আয় করুন।হ্যা যদিও এই ধরনের অ্যাপ গুলো থেকে আপনি সামান্ন কিছু টাকা পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন।তাছাড়া যদি ইনকাম করতেও পারেন সেটা হবে সিমিত সময়ের জন্য।তাই আমি কখনোই এই অ্যাপ গুলো থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সাজেস্ট করবো না।তবে কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে গেম খেলে নয় বরং অন্যান্য উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এবিষয়ে আমার একটি পোস্ট রয়েছে চাইলে পরতে পারেন।পোস্টটি পরতে এখানে ক্লিক করুন।


আর আপনি যদি প্রফেসনাল ভাবে সারা জীবন অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয়ে ভাবেন তাহলে আমার  অন্য একটি পোস্ট পরতে পারেন।পোস্টটি পরতে এখানে ক্লিক করুন


আরও পরুন



বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ১০ টি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ


আর আপনি যদি ভাবেন যে গেম খেলেই মোটা অংকের টাকা সারা জীবন ইনকাম করবেন তাহলে এবিষয়ে নিচে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বলে দিচ্ছি।যে উপায়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


বর্তমানে টেকনোলজির উন্নতি ফলে অনলাইনে বা অফলাইনে গেম খেলার প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।এবং এই গেম খেলার প্রতি আগ্রহও মানুষের বাড়ছে।তবে গেম খেলাটা একদম সহজ বেপার না।যে কখনো গেম খেলেনি তারকাছে যেমন গেম খেলাটা কঠিন তেমনি কিছু কিছু গেম রয়েছে যেগুলোর সবকিছু সাধারন মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব না।আর তাই মানুষ জন ঐ গেমটার যেটু বোঝেনা সেটা জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করে।বর্তমানে ফেসবুক ,ইউটিউব ,গুগল ইত্যাদি ওয়েব সাইটে এ বিষয়ে জানার জন্য ভিজট করে থাকে।আর তাই অনেকেই এবিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও ও আরটিকেল তৈরি করে।ঠিক এমনি ভাবে আপনি গেম খেলে ভিডিও তৈরি করে সেটা বিভিন্নসাইটে পাবলিশ করে টাকা আয় করতে পারবেন।অথবা গেম খেলে সেটার সব কিছু বিস্তারিত ভাবে লিখতে পারেন।বা উভয় কাজটিও করতে পারেন।সেটা আপনার খুসি।


গেম খেলে টাকা আয় করতে কি কি প্রয়োজন হবে?


আপনি যদি গেম খেলে টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার গেম বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।আপনার যদি খুব বেশি অভিজ্ঞতা নাও থাকে তাহলে আপনি চাইলে এবিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে পারবেন।গেম বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আপনি ইউটিউবের  বিভিন্ন ভিবিও বা গুগলে বিভিন্ন আরটিকেল পরতে পারেন।তারপর যে বিষয় টি অব্সই প্রয়োজন হবে সেটা হলো ধর্য এবং আত্ববিশ্বাস।আপনাকে অবস্যই অনেক ধর্যশীল হতে হবে।এবং নিজের প্রতি আস্তা বা বিশ্বাস রাখতে হবে ও সঠিকভাবে নিয়মিত কাজ করতে হবে।তারপর আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো গেমিং এন্ড্রয়েড মোবাইল বা একটি গেমিং কম্পিউটার। দুটির মধ্যে যেকোন  একটি হলেই চলবে।এরপর ভালো মানের একটি HD সাপোর্টেড স্ক্রিন রেকর্ড করার অ্যাপ লাগবে।যেই স্ক্রিন রেকর্ডার দিয়ে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন রেকর্ড করতে হবে।এবং ইন্টারনেট সংযোগ বেস এটুকু হলেই চলবে।


এবার মোটামুটি প্রস্তুত গেম খেলে টাকা আয় করার জন্য।এখন চলুন দেখে নেই কোন কোন উপায়ে আয় করা যায়।


কোন কোন উপায়ে গেম খেলে টাকা আয় করা যায়?

গেম খেলে টাকা আয় করার অনেকটি উপায় রয়েছে ।তার মধ্যে সেরা কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১। ইউটিউবে গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়!


গেম খেলে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে   জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউবিং করা।  একজন ভালো গেমার ইউটিউব থেকে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা আয় করতে পারে। ইউটিউবে গেমারদের অনেক প্রচলন রয়েছে।এজন্য একটি গেমিং চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে অন্যান্যদের মত খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে অন্যান্য বড় বড় ইউটিউবারদের মতো খুব বেশি পরিশ্রম ও মেধা খরচ করতে হবেনা।সুধু গেম খেলবেন আর সেই গেমটা স্ক্রিন রেকর্ডারের সাহয্যে রেকর্ড করে ভিডিও তৈরি করে সেটা ইউ টিউবে আপলোড করবেন।তাই প্রথমে একটি  ইউটিউব চেনেল খুলতে হবে।ইউটিউবে একটি চ্যানেল খলার জন্য আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন সেগুলো দেখে দেখে খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলতে পারবেন।


এখন ইউটিউব চ্যানেলটিতে নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করতে থাকবেন।কেননা অনলাইনে ইনকাম করা টাই নিয়ম ও ধর্যের কাজ।আর সেখানে যদি নিয়ম না মানেন তাহলে কেমন হবে।তাছারা আপনি যখন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করবেন তখন ইউটিউবের রবুটের আপনার ভিডিওগুলো তাদের লিস্টে নিতে সহজ হবে।এবং যখন মনিটাইজেশন এরজন্য আবেদন করবেন তখন অনেক তারাতারি আপনার চেনেলটি মনিটাইজ হয়ে যাবে।তারপর আপনি যে গেমগুলো পছন্দ করেন বা যে সকল গেমে বেশি দক্ষ সেই সকল গেম গুলো খেলে সেটার স্ক্রিন রেকর্ড করে তার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।তবে মনে রাখবেন আপনি যে ভিডিও গুলো আপলোড করবেন সেই ভিডিওতে যেন অরজিনাল গেমের সাউন্ড না থাকে।যদি অরজিনাল সাউন্ড সহ ভিডিও আপলোড করুন তাহলে ইউটিউবের গাইড আসতে পারে।যে কারনে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ হবে না।


বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়  গেমিং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।যাদের ইনকাম অনেক বেশি। বাংলাদেশের অনেক গেমাররা প্রতি মাসে প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।সেই গেমাররা সরাসরি কোন ভিডিও আপলোড করে না।তারা তাদের ভিডিও গুলো খুব সুন্দর করে ইডিট করে তারপর আপলোড করে।এবং ভিডিওর কোয়ালিটির দিকেও তাদের নজর থাকে।কেননা আপনার ভিডিও টি যদি ভালো না হয় বা ভিডিওর কোয়ালিটি যদি ভাল না হয় তাহলে বেশি একটা ভিও আসবে না।তাই ভিডিওতে যদি যথেস্ট পরিমান ভিউ আনতে চান তাহলে অবস্যই ভিডিওটি ভাল কোয়ালিটির হতে হবে।এবং যখন আপনার ভিডিওতে ভিও বেশি হবে তখন অ্যাডভার্টাইজমেন্টও বেড়ে যাবে।আর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বেড়ে গেলে বুঝতেই পারছেন আপনার ইনকামও বেড়ে যাবে।


ইউটিউব গেমিং চ্যানেল থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?


বর্তমানে গেমিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে গেমিং চ্যানেল গুলোর ভিডিওতে প্রতিদিন মিলিয়ন  মিলিয়ন ভিউজ রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় খুব বেশি একটা কস্ট করতে হয় না।গেমিং চেনেল থেকে যে পরিমাণ টাকা আয় করা যায় তা জানলে আপনাকে অবাক হতেই হবে। আপনি যানেন কি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউটিউব চ্যানেল হলো T-series । এই চ্যানেলটি ভারতের একটি মিউজিক কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত।এই ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বর্তমানে 193M মিলিয়ন।এবং তাদের চ্যানেলে প্রায় 15k বা ১৫০০০ ভিডিও আপলোড করা রয়েছে।তবে t-series চ্যানেলটি সংগীত মূলক একটি চ্যানেল।তারপর যে চেনেলটি বিশ্বের দিতীয় স্থান দখল করে আছে সেই চ্যানেলটি একটি গেমিং চ্যানেল যার নাম PewDiePie।এবং এই ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বর্তমানে 110M মিলিয়ন।এবং তাদের চ্যানেলে প্রায় 4.4k বা ৪৪০০ ভিডিও আপলোড করা রয়েছে।


আর সুধু তাই না এ সকল চ্যানেল গুলো প্রতিমাসে প্রায় ৫০০,০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।এছারাও অনেক জনপ্রিয় গেমিং চ্যানেল রয়েছে যেগুলোর কথা বললাম না।তো আপনি যদি একজন প্রফেসনাল ভাবে ভিডিও আপলো করতে থাকেন তাহলে আপনিও এক সময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে বিষয়ে একটু ধারনা দিয়ে দেই।বর্তমানে যে গেমিং চ্যানেল গুলো বেশি না বরং মিডিয়াম ইনকাম করে থাকে সেই চ্যানেল গুলো প্রতিমাসে প্রায় $500-$10,000 ডলারের মতো ইনকাম করে।যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৳৪০,০০০-৳৮০,০০০ টাকা ইনকাম করে থাকে।($1=৳80) এই হিসেব অনুযায়ী।এরকম ইনকামের জন্য আপনাকে খুব বেশি কস্ট করতে হবে না।এমনকি আপনি চাইলে পার্ট টাইম জব হিসেবেও কাজ করতে পারেন।অবস্যই মনে রাখবেন অনলাইন থেকে ইনকাম সুধুমাত্র ধর্যশীল ও মেধাবি দক্ষ লোকদের জন্যই।তবে খুব বেশি মেধাবি না হলেও চলবে।সুধু এতটুকু মেধা হলেই চলবে যে কোন কাজ কেউ করছে সেই কাজটা দেখে দেখে করতে পারলেই চলবে।এবিষয়ে আজকে এপর্যন্তই থাক।


আরও পরুন 











২.  গেমিং সম্পর্কিত ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় 


গেম খেলে টাকা আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। গেমিং ব্লগ বা গেমিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে গেম সম্পর্কে লিখে বা ভিডিও আপলোড করে।সেখানে এড বসিয়ে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।আপনি বিভিন্ন ধরনের গেম এর রিভিউ লিখে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এমন কি কোন প্রকার ইনভেস্ট ছারাই ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা শুরু করতে পারবেন।তবে আমার সাজেস্ট থাকবে আপনি অবস্যই একটি মাস্টার ডোমেইন ক্রয় করবেন।আর আপনি যদি চান ডোমেইন- হোস্টিং ক্রয় করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেটা আরো ভালো হবে।তবে আপনি সুরুতে ব্লগারে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে একটি কাস্টম ডোমেইন নিয়ে সুরু করাই নতুনদের জন্য ভালো।এবং আপনি চাইলে পর্বর্তিতে আপনার ওয়েব সাইট টিকে ওয়ার্ডপ্রেসে নিয়ে যেতে পারেন।


আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভাল মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে সেখানে ভালোমানের ট্রাফিক আসবেই আশা করা যায়।এজন্য আপনাকে লিখায় দক্ষ ও আগ্রহি হতে হবে।তারপর গেমিং করায় অনেক দক্ষ হতে হবে।এবং গেমিং বিষয়ে অনেক বেশি জানতে হবে।কারণ আপনি যে বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়ে যদি ভাল ধারনা না থাকে তবে আপনি সে বিষয়ে লিখবেন কিভাবে।আর ভালো আর্টিকেল না লিখতে পারলে সেখানে বেশি পরিমাণ ট্রাফিক আসবে না।আমরা সবাই হয়তো জানি ব্লগ থেকে ইনকাম করা সম্পূর্ন নির্ভর করে ট্রাফিকের উপর।তাই ভালো করে লিখতে হবে তবেই বেশি পরিমান ট্রাফিক আসবে।এবং আপনার ইনকামও বাড়তে থাকবে।


তারপর আপনি আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।তাছাড়া গুগল এডসেন্স ছারাও আপনার ব্লগে বিভিন্ন কম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।


বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গেমিং সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন!


বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে যেকেউ লিখে টাকা আয় করার সুযোগ দেয়।আপনি চাইলে কোন ঝামেলা ছাড়াই অন্যের ওয়েব সাইটে লেখালেখি করতে পারেন।এবং প্রতিটি পোস্ট থেকে কিছু পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এক্ষেত্রে খুব সহজেই পেমেন্টও নিতে পারবেন।পেমেন্ট নেওয়ার জন্য অনেক বাংলাদেশের ওয়েবসাইট রয়েছে যারা bkash,rocket,nagad ইত্যাদিতে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।আপনি চাইলে এখানেও লিখতে পারেন।



৩. Twitch এ গেমিং ভিডিও আপলোড করে আয়!


ইউটিউবের মতই আরেকটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট হলো Twitch।এখানেও আপনি গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। খেলে টাকা আয় করার অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম Twitch ।তবে এই সাইটটিতে সব ধরনের ভিডিও আপলোড করা হয় না। Twitch এ শুধুমাত্র ভিডিও গেমের লাইভ স্ট্রিমিং এবং রেকর্ডকৃত গেমিং ভিডিও আপলোড করা হয়। আপনি যদি  Twitch এর মত একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি  Twitch এও গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন।এখানে  Twitch প্ল্যাটফর্মটি আপনার জন্য অনেক সহজ মনে হতে পারে। 


তাছাড়া আরেকটি চমৎকার ব্যাপার হলো এখানে ইউটিউবের মত Twitch এর কোন কঠিন পলিসি নেই। এখানে আপনি ভিডিও আপলোড করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয় করা শুরু করতে পারবেন। Twitch থেকে আয় করার জন্য আপনাকে তাদের কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।তাহলেই ভিডিও মনিটাইজ করে আয় করতে পারবেন।


 এজন্য আপনাকে এক মাসে মাত্র ৫০০ মিনিট ওয়াচ টাইম পুরন করতে হবে।এবং এক মাসে কমপক্ষে ৭টি ভিডিও আপলোড করতে হবে।এবং মাত্র ৫০ জন ফলোয়ার হলেই চলবে।যেখানে ইউটিউবের ক্ষেত্রে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগে।।তারপর আপনার ভিডিও মনিটাইজ  করে আয় করা শুরু করতে পারবেন।



যদিও Twitch প্ল্যাটফর্মটির কথা আপনি হয়তো এর আগে নাও শুনতে পারেন।এর পেছনে একটা কারনও আছে বটে কেননা এটা একটা ইন্টারনেশনাল প্ল্যাটফর্ম হলেও বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ Twitch সম্পর্কে বেশি একটা জানে না।তাই হয়তো আপনিয় প্রথম সুনতে পারেন। কিন্তু গেম স্ট্রিমিং এর জন্য Twitch অনেক জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম । তাছাড়া এখানে আরেকটি মজার বেপার হলো এখানে অনেক ইন্টারন্যাশনাল গেমারদেরকে দেখা যায়। 


৪. ফেসবুক পেজে গেমিং ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়


বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করছেন।আপনি যদি একজন দক্ষ গেমার হয়ে থাকেন তাহলে  আপনিও ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।আর এই কাজটি করতে হলে  অবশ্যই আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে।তারপর ফেসবুক পেজটিতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপনি চাইলে গেমগুলো লাইভ স্ট্রিমিং ও করতে পারবেন।তাহলে খুব সহজে অনেক বেশি ভিউজ পেয়ে যাবেন। ফেসবুকের নিয়মাবলী অনেকটাই ইউটিউবের মতই। বর্তমানে অনেক গেমার রয়েছে যারা শুধুমাত্র ফেসবুক থেকেই অনেক বেশি  টাকা আয় করছে।


তবে ইউটিউবের চেয়ে  খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুকে সফলতা পাওয়া যায়। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে  ট্রাফিক রয়েছেন। যার কারণে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক  বেশি থাকে। আপনার যদি কোন একটা ভিডিও  ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে আপনি অনেক দ্রুত ইনকাম সুরু হয়ে যাবে।এখানে আরেকটি সুবিধা হলো আপনি ইচ্ছা করলে আপনার  ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি ফেসবুকেও ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন।তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখন আর আগের মত একই ভিডিও বিভিন্ন সাইটে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।সবগুলো সাইটের জন্য আলাদা আলাদা ভিডিও আপলোড করতে হবে।আর তানা হলে কমিউনিটি গাইডলাইন আসতে পারে।আর আপনার চ্যানেল বা পেজে যদি কোন কমিউনিটি গাইডলাইন থাকে তাহলে আপনি এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।তবে কমিউনিটি গাইডলাইন উঠে গেলে আবেদন করতে পারবেন।সাধারনত কমিউনিটি গাইডলাইন ৯০ দিন পর্যন্ত থাকে।


ফেসবুকেও আপনি ইউটিউবের মতো এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।


৫. টুর্নামেন্ট গেম খেলে টাকা আয়


আমাদের মাঝে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা টুর্নামেন্টে গেম খেলে অনেক টাকা ইনকাম করে।সুধু তাই না বর্তমানে এমনও গেমার রয়েছে যারা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে।তবে এদের কে গেমার বলাটা মনে হয় ঠিক হবে না।কেননা তারা তো গেমার না তারা হলো হ্যাকার।আমার মতে আপনি যদি এই ধরনের গেমে সরবোচ্চ দক্ষও হন তাও তাদের সাথে পারবেন না ।কেননা তারা আপনার সাথে গেম খেলবে না তারা সব কিছু হ্যাক করে তাদের মন মত করে আপনাকে পরাজিত করবে। বিশেষত এই গেম গুলো হলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গেম যেমন  PUBG, Free Fire এবং Call of Duty এধরনের গেম।এবার হয়তো অনেকেই বুজতে পারছেন  আমি কেন এ  কথা বললাম।এই গেম গুলো বাজি করে খেলা হয় যে কারনে আপনি যদি বিজয়ী  হতে পারেন তবেই ইনকাম করতে পারবেন।আর যদি পরাজিত হন তাহলে আপনার টাকা দিতে হবে মানে ক্ষতি হবে।আমি ১০০% নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি আপনি যদি এই হ্যাকার দের সাথে বাজি খেলেন তাহলে অবস্যই হারবেন।কেননা তারা আপনার সাথে বেইমানি করবে।আপনি অবস্যই ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।তাই আমি এবিষয়ে আর কিছু বলবো না।এবং আপনাদের কেও এখানে ইনকাম করার কথা বলবো না।কেননা এটা এমন একটি জুয়া জেটাতে হারার সম্ভাবনাই বেশি।


সামান্য কিছু উপদেশ


তো আপনি যদি গেম খেলে টাকা আয় করতে চান তাহলে উপরে দেওয়া চারটির মাঝে যে কোন একটি বা একাদিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে পারেন।আর একটি কথা অনলাইনে ইনকাম করবেন অনেক ধর্যের সাথে কাজ করে যাবেন।অনেকেই আপনাকে লোভ নিয় অনেক অফার দিতে পারে সেদিকে যাবেন না।একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন সেটা অনলাইন হোক বা বাস্তব জীবন কেউ আপনাকে সুধু টাকা দেবে না।কারও টাকা এত বেশি হয়নি যে সুধু দিয়ে দিবে।আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন সেই পরিশ্রের উপর নির্ভর করে জাস্ট একটা পারিশ্রমিক পাবেন।তবে বস্তব জিবনে আপনি যতটুকু কাজ একদিনে করে আয় করতে পারবেন অনলাইনে ঠিক অতটুকু কাজ করে ঠিক তত টাকা আয় করতে মাত্র দুই তিন ঘন্টা সময় লাগবে।কেননা বস্তব জিবনে অনেক বড় ব্যাবসায়ি বা চাকরি জিবি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে খুব সহজেই।কিন্ত মধ্যবিত্য পরিবার থেকে কেউ হাজার চেস্টা করেও এত টাকা ইনকাম করতে পারে না।তার কারন হলো মধ্যবিত্য পরিবারের টাকা ও লোকের অভাব।তাই কেউ যদি তার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে চেস্টা করে তাহলে অবস্যই সে ও লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবে।অনেক কিছু বলে ফেললাম আমার কথায় যদি কেউ কস্ট পেয়ে থাকেন তাহলে অবস্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমাদের শেষ কথা

পোস্টটি কেমন হয়েছে সেটা অবস্যই জানাবেন।এবং এই আরটিকেলে যদি কোন ভুল বা ক্রটি থাকে তাহলে অবস্যই কমেন্টে জানাবেন।আর আপনার যদি কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে সেইটা কমেন্টে প্রশ্ন করতে পারেন।আমি অবস্যই চেস্টা করবো সেই প্রশ্নটার উত্তর দিতে।আপনার যদি আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়ে কোন মতামত থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)